করোনায় দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের কষ্ট হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রম সম্পন্ন হলে আমরা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে সক্ষম হব। কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল-মাদরাসা খুলে দেওয়া হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্কুল থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষায় যারা আছে, সবাইকে যেন ভ্যাকসিন পর্যায়ে আনতে পারি এবং দ্রুত যেন আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারি, সেই ব্যবস্থাটা আমরা নেব।’
বাজেটে শিক্ষাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নসহ সার্বিক মানবসম্পদ উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বাজেটে।’
করোনার মধ্যেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান চালু আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারি প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমার গৃহ আমার স্কুল, ঘরে বসে শিখিসহ সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে দূরশিক্ষণের কার্যক্রম চলছে।
বাংলাদেশ বেতার, কমিউনিটি রেডিও এবং অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। এতে করে প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ এক বছর শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখা সম্ভব হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত বছর ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের খবর দেয় সরকার। এরপর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়। এরপর সরকার ২৬ মার্চ থেকে টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে।
চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে আবার করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে সরকার এপ্রিল থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বিধিনিষেধ জারি করে। সম্প্রতি সীমান্তে করোনার তীব্র সংক্রমণ শুরু হলে বিভিন্ন জেলায় লকডাউন জারি করা হয়। ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন রাখতে কয়েক দিন আগে আশপাশের সাত জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এখন সারাদেশে একযোগে সীমিত লকডাউন চলছে