হাত খরচের টাকা জমিয়েই ১০ কোটির মালিক হয়েছেন এক তরুণী। একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা কেটি ডোনেগান (৩৫) সচ্ছল পরিবারের সন্তান। কিন্তু তারপর ঘুরতে যাওয়া কিংবা খাওয়াদাওয়ার পেছনে বেশি খরচ করতেন না কেটি। নিজের হাত খরচের টাকা খরচ করার চেয়ে জমাতেই বেশি পছন্দ করতেন তিনি।
২০০৫ সালে কোস্টারিকায় একটি স্বেচ্ছাসেবক প্রকল্পে অংশ নিতে গিয়ে অ্যালানের সঙ্গে পরিচয় হয় কেটির। যুক্তরাজ্যে ফিরে এক সঙ্গে থাকতে শুরু করেন তারা। সেখানে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে পরিসংখ্যান নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন কেটি। শিক্ষার্থী থাকাকালে কেটি সস্তা দামের খাবার খেতেন। নতুন পোশাক কিনতেন না।
২০০৮ সালে স্নাতক শেষ করার পর বাড়ি ভাড়া বাঁচানোর জন্য অ্যালানের মায়ের কাছে হ্যাম্পশায়ারে চলে যান তারা। তখন বছরে সাড়ে ২৮ হাজার ডলার আয় করতেন কেটি। কেটির স্বামী অ্যালানও তখন খুব বেশি আয় করতেন না।
খরচ বাঁচাতে তারা বাইরে খেতেন না। সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি ব্যবহার করতেন। বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে গেলে বেশি খরচ হবে ভেবে তাদের বাড়িতেই আমন্ত্রণ জানাতেন। এভাবে ২০১০ সালের নভেম্বরের মধ্যে বেশকিছু টাকা জমে যায় তাদের। এরপর তারা ছোট একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন।
২০১৩ সালের জুলাইতে তারা বিয়ে করেন। বিয়েতেও যতটা সম্ভব কম খরচ করেছেন এই দম্পতি।
২০১৪ সালে আয় বাড়ে তাদের। কিন্তু তারপরও খরচের রাশ আলগা করেননি ওই দম্পতি। সে সময় তারা প্রতিমাসে তিন হাজার ডলার জমাতেন তারা। ২০১৫ সালে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনে স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করেন তারা।
২০১৯ সালের এপ্রিলে ১০ লাখ ডলার জমে যায় কেটির। এরপর তিনি আর অর্থ না জমানোর সিদ্ধান্ত নেন। অ্যালানও কেটির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়।
কঠোর কৃচ্ছ্রসাধনের পর অবশ্যেএখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন ওই দম্পতি। তারা থাইল্যান্ড ও মেক্সিকো থেকে ঘুরে এসেছেন