এক জয়ে অনেক কিছু পেল মানচিনির ইতালি
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেললেও প্রথমার্ধে সেরা সুযোগটি ইতালি পায় ম্যাচের ৩০ মিনিটে। ফেদেরিকো বেরনারডেস্কির অসাধারণ পাস থেকে করা আন্দ্রেয়া বেলোত্তির শটটি অবশ্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ওই সময় পর্যন্ত ম্যাচে ইতালির বল পজেশন ছিল ৬৯ শতাংশ। এর মধ্যে চারবার গোলে শট নিয়েছে মানচিনির দল, যার দুটিই লক্ষে থেকেছে। মজার ব্যাপার, ৩০ মিনিট পর্যন্ত ওয়েলসের রক্ষণে ইতালি এতটাই চাপ তৈরি করেছে যে এই সময়ের মধ্যে ওয়েলস খেলোয়াড়দের মধ্যে বলে সবচেয়ে বেশি ২৩ বার স্পর্শ ছিল গোলকিপার ড্যানি ওয়ার্ডের!
তবে ইতালিকে গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয় ৩৯ মিনিট পর্যন্ত। ভেরাত্তির ক্রসে বক্সের মধ্য থেকে ডান পায়ের দুর্দান্ত এক ভলিতে বল জালে জড়ান মাত্তেও পেসিনা। ২০০৪ সালে আন্তোনিও কাসানোর পর সর্বকনিষ্ঠ ইতালির খেলোয়াড় হিসেবে শুরুর একাদশে নেমে গোল পাওয়া ইতালির প্রথম খেলোয়াড় হয়ে গেছেন তিনি। আজ গোলটি পাওয়ার সময় পেসিনার বয়স ছিল ২৪ বছর ৬০ দিন। ২০০৪ সালের ইউরোতে সুইডেনের বিপক্ষে কাসানো শুরুর একাদশে নেমে গোল পাওয়ার সময় তাঁর বয়স ছিল ২১ বছর ৩৪২ দিন।
প্রথমার্ধে এগিয়ে যাওয়ার আরও সুযোগ পায় ইতালি। সেরা সুযোগটি আসে ৪২ মিনিটে। তবে ভেরাত্তির আরেকটি দুর্দান্ত পাস থেকে একটুর জন্য বল জালে জড়াতে পারেননি পেসিনা। ইতালির আরও দুটি সুযোগ আটকে যায় ওয়েলস গোলকিপার ড্যানি ওয়ার্ডের বিশ্বস্ত হাতে।
দ্বিতীয়ার্ধেও ওয়েরসের রক্ষণে চাপ অব্যাহত রাখে ইতালি। ৫২ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে নেওয়া বেরনারডেস্কির ফ্রি-কিক ফিরে আসে পােস্টে লেগে। ৬৪ মিনিটে কাছ থেকে নেওয়া বেলোত্তির শট ঠেকিয়ে দেন ওয়েলসের গোলকিপার ওয়ার্ড। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার সুযােগ পেয়েছে ওয়েলসও। সেরা সুযোগটি তারা পায় ৫৩ মিনিটে। কিন্তু ৫৩ মিনিটে রামসি ইতালির গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন। ৫৫ মিনিটে বেরনারডেস্কিকে ফাউল করে আম্পাডু লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দল হয়ে যায় ওয়েলস। এরপর আক্রমণ করার চেয়ে আক্রমণ ঠেকাতেই বেশি মনোযোগী হতে হয় তাদের।
এই জয়ে গ্রুপ পর্বে ৩ ম্যাচ থেকে পুরো ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে শেষ ষোলোতে উঠেছে মানচিনির ইতালি। ছুঁয়ে ফেলেছে তারা ইতালির বিশ্বকাপ জয়ী কোচ ভিত্তরিও পোজ্জোর টানা ৩০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড। একই সঙ্গে টানা ১১ ম্যাচে জয় পেয়েছে ইতালি। এর আগে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে মানচিনির অধীনেই নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১১ ম্যাচে জয় পেয়েছিল তারা।
ইতালির কাছে হারলেও সরাসরি শেষ ষোলোতে জায়গা করে নিয়েছে ওয়েলস। ৩ ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের সমান ৪ পয়েন্ট তাদের। কিন্তু গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় দ্বিতীয় স্থানে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছেন বেল-