মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা
এদিকে আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) গাম্বিয়া বনাম মিয়ানমারের মামলায় যুক্তরাজ্য হস্তক্ষেপ করতে চায় বলে জানান দেশটির এশিয়াবিষয়ক মন্ত্রী আমান্ডা মিলিং। রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা চালানোর অভিযোগ এনে ২০১৯ সালের নভেম্বরে নেপিদোর বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিল গাম্বিয়া। মিয়ানমার ২০১৬ ও ২০১৭ সালে ‘জেনোসাইড কনভেনশন’ লঙ্ঘন করে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে কি না, তা নির্ধারণ করবে আইসিজে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা শুরু করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমার সেনাদের অভিযানে ১০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নিহত হয়, ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযানে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী যৌনসহিংসতা চালিয়েছিল। একই সঙ্গে নির্যাতন, শিশুদের ওপর গুরুতর সহিংসতা ও গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। যুক্তরাজ্য সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এসব অপরাধ করলেও তাদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এটি মারাত্মক উদ্বেগের বিষয় যে, দেশটির সামরিক বাহিনী বর্তমানে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোর ওপর একই কায়দায় দমনপীড়ন চালাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যা হয়েছে তা ছিল জাতিগত নিধন অভিযান। তাই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নৃশংসতা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে এবং তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে যুক্তরাজ্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মন্ত্রী আমান্ডা মিলিং বলেন, ‘যারা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র নিয়ে আমাদের মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ন ও ধ্বংস করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্য সব সময় কঠোর অবস্থানে যাবে। বিগত পাঁচ বছর ধরে আমরা রোহিঙ্গা জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি এবং মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর জাতিগত নিধন অভিযানের নিন্দা জানাচ্ছি