আজ সৌদি আরবে ইউরোপেবাংলাদেশের  চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ

আজ সৌদি আরবে ইউরোপেবাংলাদেশের  চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ
মুনিয়া জান্নাত নশি

সৌদি আরবে  পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে শনিবার (২৯ মার্চ)। ফলে রাত পোহালেই রোববার (৩০ মার্চ) দেশটিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। সৌদিয়াদের  দেখা ইউরোপে ও প্রতি বছরের মতো এবারও দেশগুলিতে সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করবেন বাংলাদেশের অন্তত ৮ জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। 

এর আগে সৌদির সাথে মিল রেখে এসব জেলার বেশকিছু এলাকার বাসিন্দারা রোজা শুরু করেন। সেই হিসেবে রাত পোহালেই ওইসব এলাকার মানুষ ঈদুল ফিতর উদযাপন শুরু করবেন। সকালে ওই সব এলাকায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর, ভোলা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, পিরোজপুর, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম।

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোববার বাংলাদেশে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এসব গ্রামের সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা প্রায় ৯৫ বছর ধরেই আরব দেশগুলোর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ঈদ উদযাপন করে থাকেন। ঈদকে ঘিরে এসব গ্রামে  শনিবার রাত থেকে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

ভোলার পাঁচ উপজেলার ১৪টি গ্রামের প্রায় তিন হাজার পরিবার আজ ঈদ উদযাপন করবে। সকাল সাড়ে ৮টায় বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী গ্রামে খলিফা মজনু মিয়ার নিজ বাড়ির আঙিনায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে।  

রোববার মাদারীপুরের ২৫ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। জেলার সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। সেখানে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

জানা গেছে, প্রায় দেড়শ বছর আগে থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছেন সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হজরত জান শরীফ শাহ্ সুরেশ্বরীর (রহ.) অনুসারীরা।

এদিকে, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাঁটাগড়, সহস্রাইল, দরিসহস্রাইল, মাইটকোমড়া, রাখালতলি গঙ্গানন্দপুরসহ দশটি গ্রামের আংশিক এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের তিনটি গ্রামসহ মোট ১৩ গ্রামের বাসিন্দারা রোববার ঈদুল ফিতর পালন করবে।

শরীয়তপুরের সুরেশ্বর, কেদারপুর, চাকধ্, চন্ডিপুরসহ ৩০ গ্রামেও সৌদির সাথে মিল রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এছাড়া, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কিছু বাসিন্দা রোববার ঈদুল ফিতর পালন করবে।

অন্যদিকে, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ভাইজোড়া, কচুবাড়িয়া, সাপলেজা, ঝাটিবুনিয়া, খেতাছিড়া ও চকরগাছিয়া, কাউখালী উপজেলার বেতকা, শিয়ালকাঠী ও পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের প্রায় ৭৫ থেকে ৮০টি পরিবার, নাজিরপুর উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের ৩৫ পরিবার, সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের কদমতলা ও একপাই জুজখোলা গ্রামের প্রায় ৬০টি পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে।

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোববার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলার চার গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদ উদযাপন করবেন। প্রায় ১০০ বছর ধরে বাংলাদেশের একদিন আগেই তারাবির নামাজ পড়ে রোজা শুরু করেন তারা। এ বছরও এসব গ্রামের মানুষ একদিন আগেই পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন বলে জানিয়েছে তারা। 

সকাল ৮টা থেকে দুই উপজেলার ৮টি মসজিদে একযোগে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করবেন। গ্রামগুলো হলো- নোয়াখালী পৌরসভা লক্ষ্মীনারায়ণপুর ও হরিণারায়নপুর গ্রাম, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রাম