সরিষা শাকের গুণে সুস্থ থাকে হার্ট! দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতেও সেরার সেরা

সরিষা শাকের গুণে সুস্থ থাকে হার্ট! দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতেও সেরার সেরা
সরিষা শাকের গুণে সুস্থ থাকে হার্ট! দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতেও সেরার সেরা

সরিষা শাকের গুণে সুস্থ থাকে হার্ট! দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতেও সেরার সেরা

 

Ministerbd

এখনো গ্রাম বাংলায় বাড়ির উঠানের পাশে গজিয়ে ওঠে একাধিক উপকারী শাক। যেসব শাকে রয়েছে পুষ্টি উপাদানের খনি। তাই বিশেষজ্ঞরা বারবার করে এসব শাক খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

তবে অজ্ঞানতার কারণেই হোক বা আধুনিকতার কুপ্রভাবের দরুন, বর্তমানে বেশিরভাগ পরিবারেই কয়েকটি শাক একদম অবহেলিত। এ ধরনের শাক নয় মাসে, ছয় মাসেও রান্না ঘরে ঢোকে না। এমনই অবহেলিত শাকের তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে সরিষা শাক।

সাধারণত সরিষা উৎপাদনের জন্য সরিষা গাছের চাষ করেন কৃষকরা। তবে কচি সরিষার গাছ শাক হিসেবে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে শহর-গ্রাম সবখানেই। খেতে বেশ মজাদারও।

বিশেষজ্ঞদের কথায়, সরিষা শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রয়েছে ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ভিটামিন এ, ক্যালশিয়াম ও পটাশিয়ামের মতো খনিজ এবং ভিটামিন। তাই নিয়মিত এই শাক খেলে একাধিক ঘাতক অসুখ কাছে ঘেঁষার সুযোগ পাবে না, তা বলাই বাহুল্য।

তাই আর দেরি না করে সরিষা শাকের অগুণতি গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

হার্টকে রাখে সুস্থ-সবল

নিয়মিত সরিষা শাক খেলে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহু গুণে কমে। এতে এমন কিছু উপাদান উপস্থিত রয়েছে যা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর মাত্রা কমলেই হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমবে।

এছাড়া এই শাকে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে, যা কিনা হার্টকে সুষ্ঠভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত এই শাকের পদ খেতে ভুলবেন না।

হাড় হবে শক্তপোক্ত​

এই শাকে রয়েছে ভিটামিন কে-এর ভাণ্ডার। এই ভিটামিন হাড়ের জোর বাড়াতে সক্ষম। এমনকি হাড়ের ক্ষয়জনিত রোগ বা অস্টিওপোরোসিসের মতো অসুখ থেকেও রক্ষা করে এই ভিটামিন।

এছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত সরিষা শাক খেলে চোট ও আঘাতজনিত কারণে হাড় ভাঙার আশঙ্কাও অনেকটাই কমবে। তাই হাড়ের খেয়াল রাখতে চাইলে সরিষা শাককে ডায়েটে জায়গা করে দিতেই হবে।

চোখের জন্য উপকারী

সরিষা শাকে রয়েছে লিউটিন ও জিয়াজ্যানথিনের মতো কার্যকরী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই দুই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিন্তু চোখের স্বাস্থ্য রক্ষার কাজে অত্যন্ত জরুরি। গবেষণায় দেখা গেছে, এই শাক নিয়মিত খেলে বয়সজনিত চোখের সমস্যা এড়িয়ে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

বাড়ন্ত বয়সের বাচ্চাদের বছর বছর মাইনাস পাওয়ার বাড়ার একটা প্রবণতা থাকে। সেই সমস্যার সমাধান করতে চাইলে সন্তানকেও খাওয়াতে পারেন সরিষা শাক। এতেই বাচ্চার চোখের পাওয়ার বাড়বে তরতরিয়ে। দুশ্চিন্তা কমবে অভিভাবকদের