মির্জা ফখরুলকে নির্বাচন কমিশনের। দায়িত্ব। দিলেই বি এন পি খুশি।

মির্জা ফখরুলকে  নির্বাচন কমিশনের। দায়িত্ব। দিলেই বি এন পি খুশি।
মির্জা ফখরুলকে  নির্বাচন কমিশনের। দায়িত্ব। দিলেই বি এন পি খুশি।

প্রথম সময় ডেস্ক:

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব

দেওয়া হলে তবেই বিএনপি খুশি হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি বিভিন্ন সভায় বলেছিল আইন করতে সময় লাগে না, দুদিনেই আইন করা যায়। সরকার যখন আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে তখন তারা এর বিরোধিতা করছেন। আসলে বিএনপি কোনো কিছুতেই খুশি হবে না।
নির্বাচন কমিশন গঠন আইন নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, এ বিষয়ে বিএনপিও একটি কথা বলেছিল, তারা রাষ্ট্রপতির সংলাপে যায়নি কিন্তু বিভিন্ন সভায় তারা বলেছিল আইন করতে সময় লাগে না, দুদিনেই আইন করা যায়। দেশে প্রয়োজনের নিরিখে অতীতে অনেক কিছু হয়েছে। এটিও রাষ্ট্রের প্রয়োজন, তাই সহসা আইন করা প্রয়োজন। আজকে যখন আইন করার উদ্যোগ নিয়েছেন তখন তারা এর বিরোধিতা করছেন।  
তিনি বলেন, এ আইন কিন্তু এখনও হয়নি এটি একটি প্রস্তাবনা। সংসদের হাউজে উঠেছে, হাউজ থেকে কমিটিতে গেছে। একটু আগে সংসদীয় কমিটির মিটিং হয়েছে, সেখানে বিএনপির প্রতিনিধিরাও ছিলেন। আমি তাদের বক্তব্য টিভিতে শুনছিলাম। সেখানে অনেক কিছু আলোচনা হয়েছে। মিটিং থেকে বেরিয়ে আইনমন্ত্রী ব্রিফ করেছেন। বিএনপির পক্ষ থেকেও ব্রিফ করা হয়েছে। সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানও ব্রিফ করেছেন। সেখানে কিছু সংশোধনী প্রস্তাব করেছেন। সেগুলো গ্রহণ করেছেন বলে সংসদীয় কমিটির সভাপতি জানিয়েছেন। অতএব পুরো প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আইনটি করা হচ্ছে।    
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে। যদিও ৫০ বছরে সেটি হয়নি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সংলাপে বসেছেন। বেশির ভাগ রাজনৈতিক সংগঠনই সংবিধান অনুযায়ী একটি আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের গঠনের কথা বলেছেন। একইসঙ্গে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেছিলেন একটি আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের তাগাদা দিয়েছিলেন। পাশাপাশি আইনের একটি রূপ রেখা তারা দিয়েছেন। তখন আইনমন্ত্রী বলেছিলেন এখন আইন করতে গেলে তারাহুরো হবে। তখন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেছেন রাষ্ট্রপতির অর্ডিনেন্সের মাধ্যমে আইনটি করা হোক। যারা এ কথা বলেছিলেন আইনমন্ত্রীকে তারা এখন আবার গত রোববার জুম মিটিং করে বলেছেন তাড়াহুড়ো করে আইন করা সমীচীন হচ্ছে না।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে ড. হাছান বলেন, আসলে বিএনপি চায় বাংলাদেশে একটি ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরি হোক। বিএনপি কোনো কিছুতেই খুশি হবে না। তিন মাস সময় নিয়ে আইন করা হলেও বিএনপি খুশি হবে না। তারা তখনই খুশি হবে যদি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এছাড়া তাদের খুশি হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না