বাংলাদেশে একতরফা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের জনগণের আদালতে বিচার হবে’

বাংলাদেশে   একতরফা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের জনগণের আদালতে বিচার হবে’
বাংলাদেশে   একতরফা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের জনগণের আদালতে বিচার হবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

‘একতরফা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের জনগণের আদালতে বিচার হবে’

ঢাকা: একতরফা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের জনগণের আদালতে বিচার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী 

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে অনলাইনে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দেশ-জাতি ও আন্তর্জাতিক মহলের মতামতকে উপেক্ষা করে প্রহসনের নির্বাচন করার জেদ অব্যাহত রাখছে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী। জনরোষ যে কত তীব্রতর হচ্ছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে কত বিরূপ হচ্ছে এই পাতানো নির্বাচনের জন্য, সেটা এই সরকার বুঝতে পারছে না। তারা মনে করছে, আমরা সব কিছু উপেক্ষা করে বৈতরণী পার হয়ে যাব।’

‘আমরা বলতে চাই, সরকার, নির্বাচন কমিশন ও দালালরা— এরা কেউ ছাড় পাবেন না। জনগণের আদালত গঠিত হচ্ছে এবং এই আদালতে তাদের প্রত্যেকটি অপকর্মের বিচার হবে,’— বলেন রুহুল কবির রিজভী।

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘সরকার তার অবৈধ ক্ষমতাকে ধরে রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী হবে, বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে, এর কোনো খেয়াল তারা রাখছে না। আজ গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। শেখ হাসিনা নির্বিকার। এরপর যদি গার্মেন্টেস পণ্য রফতানির ওপরে স্যাংশন আসে, কত মানুষ যে বেকার হবে, কত নারী যে বেকার হবে, শেখ হাসিনা সেটা ভাবছেন না।’

রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আমাদের গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন। দেশের অর্থনীতি মজবুত হোক, সেটা তিনি চান না। তার দরকার কেবল ক্ষমতা। আর সেই কারণেই খেল-তামাশার নির্বাচন করার জন্য তিনি মরিয়া হয়ে উঠেছেন।’

সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘শীর্ষ নেতাদের বন্দি রেখেছেন কীসের কারণে? একতরফা নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য? ২০১৮ সালে আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করেছেন কীসের জন্য? একতরফা নির্বাচন করার জন্য, পথের কাঁটা দূর করার জন্য, নির্বিঘ্নে আপনার অপশাসন-অপকীর্তি-দুর্নীতি-অনাচার যেন অব্যাহত থাকে সে জন্য।’

‘আর এর জন্য কথা বললে সেটা হয়ে যায় ষড়যন্ত্র। চক্রান্তের বিরুদ্ধে কথা বললে চক্রান্তকারীরা সেটাকে মনে করে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র। ওবায়দুল কাদের সাহেবরা সেটাই মনে করছেন। ওবায়দুল কাদের মন্ত্রী, তার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী— এটা তো চক্রান্তের ফসল,’— বলেন রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলন চলছে। ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হবে আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে, চলবে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত। এই অবরোধ কর্মসূচিতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা রাস্তায় থাকবেন।’

রিজভী বলেন, ‘জনগণ এই অবরোধ কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়েছে। আমরা জনগণের সমর্থনে বিশ্বাস করি, আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী। আমাদের একমাত্র অবলম্বন জনগণ। আমরা বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভর করি না। একে বলা, ওকে বলা— এগুলো করি না। আমরা জনগণের শক্তির ওপর নির্ভর করে আমরা আমাদের দাবিগুলোর জন্য এই আন্দোলন-সংগ্রাম করছি। জনগণ যাদের পক্ষে থাকে তারা কোনোদিন পরাজিত হয় না। হয়তো সাময়িকভাবে আমরা নির্যাতিত, আমরা নিপীড়িত। কিন্তু নিপীড়ন, নির্যাতনের সব আঘাত একদিন প্রতিঘাত হিসেবে এই অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‍ঘুরে দাঁড়াবে, প্রত্যাঘাত করবে এবং গণতন্ত্রের বিজয় হবে।