মাতৃভাষার জন্য আত্মাহুতি দেওয়া বীরদের শ্রদ্ধায় স্মরণ

মাতৃভাষার জন্য আত্মাহুতি দেওয়া বীরদের শ্রদ্ধায় স্মরণ
মাতৃভাষার জন্য আত্মাহুতি দেওয়া বীরদের শ্রদ্ধায় স্মরণ

মাতৃভাষার জন্য আত্মাহুতি দেওয়া বীরদের শ্রদ্ধায় স্মরণ

চট্টগ্রাম ব্যুরো: মায়ের ভাষা বাংলার মর্যাদার জন্য আত্মাহুতি দেওয়া বীর শহিদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে চট্টগ্রামের মানুষ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে নানা বিধিনিষেধের মধ্যেও একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে চট্টগ্রামের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে বিপুল সংখ্যক লোক জড়ো হন।

রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১ টার পর থেকেই নগরীর মিউনিসিপ্যাল মডেল হাইস্কুল প্রাঙ্গণে অস্থায়ী শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে লোকজন আসতে শুরু করেন। বিভিন্ন সংগঠন, নানা শ্রেণিপেশার মানুষ ফুল হাতে আসেন। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কী ভুলিতে পারি’—কালজয়ী সেই গান ছিল সমবেতদের কণ্ঠে।

পুলিশের সশস্ত্র অভিবাদনের মধ্য দিয়ে রাত ১২টা ১ মিনিটে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী শহিদ মিনারে প্রথম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসময় চসিকের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা মেয়রের সঙ্গে ছিলেন।

শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান, পুলিশ সুপার এস এম রাশিদুল হক, এবং মহানগরের বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ।

মাতৃভাষার জন্য আত্মাহুতি দেওয়া বীরদের শ্রদ্ধায় স্মরণ

প্রশাসনের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ হলে শহিদ মিনার সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

প্রতিবছরের মতো এবারও একুশের ভোরে প্রভাতফেরী হবে। তবে করোনা মহামারির কারণে গত বছরের মতো এবারও বিধিনিষেধ দিয়েছে প্রশাসন। সংগঠন থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন এবং ব্যক্তিপর্যায়ে দু'জন শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবেন। সবার মুখে থাকতে হবে