অবরোধ ও বৃষ্টির ছুতায় ফের সবজির দর চড়া আলুর কেজি ৭০ টাকা

অবরোধ ও বৃষ্টির ছুতায় ফের সবজির দর চড়া আলুর কেজি ৭০ টাকা
অবরোধ ও বৃষ্টির ছুতায় ফের সবজির দর চড়া আলুর কেজি ৭০ টাকা

অবরোধ ও বৃষ্টির ছুতায় ফের সবজির দর চড়া

আলুর কেজি ৭০ টাকা

শীতের সবজির সমারোহের মধ্যে যেখানে কমার কথা, সেখানে হঠাৎ আবার চড়া হয়ে উঠেছে এর দাম। গত দুই দিনে কয়েকটি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। কোনোটির দাম বেড়ে হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এর জন্য ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে গত সপ্তাহে হওয়া বৃষ্টি আর কম সরবরাহকে কারণ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন সবজি বিক্রেতারা। 

মঙ্গলবার ঢাকার হাতিরপুল, কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর বাজারে দেখা গেছে, শীতের অন্যতম সবজি শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। তিন দিন আগেও শিমের কেজি ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। মাসখানেক ধরে গোল বেগুনের কেজি ৬০ টাকার আশপাশের দরে বিক্রি হচ্ছিল। কিন্তু এখন বেগুন কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে গতকাল বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। বছরের এ সময়ে টমেটোর দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে থাকে। কিন্তু এখন টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। 

দাম কমে সপ্তাহখানেক আগে আকারভেদে ফুল ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকায়। কিন্তু সপ্তাহ ব্যবধানে দ্বিগুণের মতো দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। বরবটির কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা বা এর চেয়েও বেশি দরে। এ ছাড়া পটোল, ধুন্দল, শসাসহ অন্যান্য সবজিও কেজিতে ১০ টাকার মতো দাম বেড়েছে। কিছুটা কম দরে মিলছে মুলা। সবজিটি কেনা যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে।   নোয়াখলীর কোম্পানী গঞ্জের বসুরহাটে ও আগের তুলনায় অনেক বেশি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যাই  একই চিত্র

হাতিরপুল বাজারের বিক্রেতা ইসরাফিল বলেন, গত সপ্তাহের বৃষ্টিতে সবজি নষ্ট হয়েছে। তা ছাড়া অবরোধের কারণে সবজি কম আসছে। এ জন্য দামটা একটু বেশি। কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি ইমরান মাস্টার বলেন, ‘সবজি সম্পূর্ণ পচনশীল পণ্য। এটি দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করা যায় না। তাই কাঁচাবাজারে সিন্ডিকেট করার সুযোগ থাকে না। দাম ওঠানামা করে সরবরাহের ওপর। কখনও সরবরাহ কমে গেলে দামটা চড়া হয়ে যায়। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে ক্ষেতে কিছু সবজি নষ্ট হয়েছে। এতে সরবরাহ কিছুটা কমেছে। তবে চড়া দাম দীর্ঘ সময় থাকবে না। যে কোনো মূহূর্তে কমে যেতে পারে।’  

কারওয়ান বাজারের পাইকারি আলু ব্যবসায়ী রবিউল আলম বলেন, ‘দাম বেশি থাকায় কৃষকরা অনেক ছোট আলু ক্ষেত থেকে তুলে বিক্রি করে দিয়েছেন। ক্ষেত থেকে ১৫ দিন আগে তোলা এক কেজি আলু এখন তুললে তা ওজনে হতো দুই থেকে তিন কেজি। অন্যদিকে আমদানিও কমেছে। এ কারণে বাজা