সরকার পরিবর্তন ছাড়া সংলাপ করে লাভ নেই’

সরকার পরিবর্তন ছাড়া সংলাপ করে লাভ নেই’
সরকার পরিবর্তন ছাড়া সংলাপ করে লাভ নেই’

‘সরকার পরিবর্তন ছাড়া সংলাপ করে লাভ নেই’

টাঙ্গাইল: সরকার পরিবর্তন ছাড়া নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে সংলাপ করে কোনো লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইলে জেলা সদর মাঠে এক সমাবেশে রাষ্ট্রপতির সংলাপ সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে জেলা বিএনপি এ সমাবেশ আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পত্র-পত্রিকায় ফলাও করে সংলাপ সংলাপ খেলা শুরু হয়ে গেছে। রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকে ডেকে সংলাপ করছেন। কীসের সংলাপ? কেমন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, সেই কমিশন কীভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবে। আরে এই নির্বাচন কমিশন করে কী হবে? যে সরকার আছে এই সরকারই তো নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধবংস করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ যতক্ষণ ক্ষমতায় থাকবে ততক্ষণ নির্বাচন কমিশন করে কোনো লাভ হবে না। আমি খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই যে, এই নির্বাচন নির্বাচন খেলা করে লাভ হবে না, সংলাপ সংলাপ করে কোনো লাভ হবে না।’

তিনি বলেন, ‘ইংরেজিতে একটা কথা আছে- ওল্ড ওয়ান এ নিউ বোটল অর্থাৎ পুরনো জিনিস নতুন বোতলে দিয়ে দেখানো। সেটা করে কোনো কাজ হবে না। আমরা সে কথা শুনতে চাই না। আমরা বলতে চাই, এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, নির্বাচনকালীন যদি নিরপেক্ষ সরকার না থাকে তাহলে নির্বাচন কোনোদিন সুষ্ঠু অবাধ হতে পারে না।’

‘আমাদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে, ২০১৪ নির্বাচন, আমাদের অভিজ্ঞতা ২০১৮ সালের নির্বাচন, আমাদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ-পৌরসভা নির্বাচন। সব খানে আমরা দেখছি সরকার দলীয় লোকেরা জোর করে সব ফলাফল তাদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যার সমাধান এক জায়গাতেই। বাংলাদেশে নির্বাচনের সময়ে একটা নিরপেক্ষ সরকার দিতে হবে, যেটাকে আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলি, কেয়ারটেকার সরকার বলি। এই সরকারকে পদত্যাগ করে কেয়ারটেকার সরকারের কাছে ক্ষমতা দিয়ে তারপরে ওই সরকোরের অধীনে নির্বাচন কমিশন হবে, নির্বাচন হবে’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  জিয়ার বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে আবারও সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সরকারকে বলতে চাই, অবিলম্বে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন এবং তার সুচিকিৎসার জন্য বাইরে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় সমস্ত দায়-দায়িত্ব আপনাদের বহন করতে হবে।’

আন্দোলনের চলমান কর্মসূচি সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ সারাদেশে ৮টি জেলায় আমাদের এই কর্মসূচি ছিল। আপনারা কর্মসূচির কথা বলেছেন। আমরা ধীরে ধীরে কর্মসূচি করছি। আপনারা ফুটবল খেলা দেখেছেন না। ফুটবল খেলা শুরু হওয়ার আগে দৌড়াদৌড়ি করে। এটাকে কী বলে ওয়ার্ম আপ। আমরা ওয়ার্ম আপ করছি। টাঙ্গাইলের মাটিতে এত বাধা বিপত্তির পরেও আজ হাজার হাজার লোক উপস্থিত হয়েছে। সরকার বলতে চাই, প্রশাসনকে বলতে চাই, বাধা দিয়ে লাভ হবে না।’ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানুর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী, শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম