সীমান্ত থেকে ২৩ বাংলাদেশিকে আটক করল বিএসএফ

সীমান্ত থেকে ২৩ বাংলাদেশিকে আটক করল বিএসএফ
সীমান্ত থেকে ২৩ বাংলাদেশিকে আটক করল বিএসএফ

সীমান্ত থেকে ২৩ বাংলাদেশিকে আটক করল বিএসএফ

ফেনীর ছাগলনাইয়ায় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ২৩ বাংলাদেশিকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। মঙ্গলবার ভোর রাতে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গেছে। এ সময় বিএসএফ তাদের কাছ থেকে ১৭টি মোবাইল ও ১৫০ বস্তা চিনি জব্দ করে।

তবে ২৩ জনকে আটকের বিষয়টি মঙ্গলবার বিকেলে বিজিবিকে জানিয়েছে বিএসএফ। আটক ২৩ জনের প্রত্যেকেই বাংলাদেশি নাগরিক বলেও নিশ্চিত করেছ

ফেনীর জয়লস্কর বিজিবির ৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা সমকালকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

আটক ২৩ জনের মধ্যে কয়েকজনের নামও জানা গেছে। তারা হলেন- মধ্যম মটুয়ার মজিবুল হকের ছেলে মহিউদ্দিন, বেলালের ছেলে শুক্কুর, খায়েরের ছেলে খুরশিদ, হারুন, মালেকের ছেলে রিপন, পূর্ব ছাগলনাইয়ার শুক্কুরের ছেলে মাইন উদ্দিন, রুহুলের ছেলে শামীম, মুছার ছেলে গনি, আনিছের ছেলে রিপন, খুরশিদের ছেলে ইমন, বজলের ছেলে ওবায়েদুল হক, তাহেরের ছেলে আবুল হাশেম।

এলাকাবাসী জানান, পশ্চিম ছাগলনাইয়ার ঝন্টু, আলমগীর, সুবেদারীর আজাদ, বাগানবাড়ির হারুন, পূর্ব ছাগলনাইয়ার তারেক প্রতি রাতে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে চিনি নিয়ে আসে। এলাকার রিকশা ও ভ্যানচালকসহ দিনমজুর পরিবারের লোকজনকে দিকে এ কাজ করায় তারা। এজন্য প্রত্যেককে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়।

সোমবারও গভীর রাতে লোকজন ভাড়া করে অবৈধ পথে চিনি আনতে পাঠায় চক্রটি। এ সময় ৫০ জনের একটি দল ফেনীর ছাগলনাইয়া এবং ত্রিপুরার সমরেন্দ্র গঞ্জের সাব্রুম সীমান্তে কাটা তারের বেড়া পাড় হয়ে ভারতের ঢুকে পড়ে। টের পেয়ে বিএসএফ চেকপোস্টে সবাইকে ঘেরাও করা হয়। পরে ২৭ জন পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও ২৩ জনকে আটক করে বিএসএফ।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল বদরুদ্দোজা জানান, বিএসএফ চোরাকারবারের অভিযোগে ২৩ জনকে আটকের কথা জানিয়েছে। তাদেরকে ভারতের ভেতর থেকে আটক করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে বিএসএফ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আটক ২৩ জনের একটি তালিকাও দিয়েছে বিএসএফ। বিজিবি পরিচয় যাচাই করে তারা বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে।

ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম জানান, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না। থানায় কেউ কোনো অভিযোগও করেননি