সব সম্প্রদায়ের সমান অধিকারের বাংলাদেশ গড়তে চায় ড.ইউনুস

সব সম্প্রদায়ের সমান অধিকারের বাংলাদেশ গড়তে চায়   ড.ইউনুস
সব সম্প্রদায়ের সমান অধিকারের বাংলাদেশ গড়তে চায়   ড.ইউনুস
মুরশিদ আহম্মেদ

সব সম্প্রদায়ের সমান অধিকারের বাংলাদেশ গড়তে চায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যা নিয়ে বিশে^র সামনে গর্ব করা যায়। সেনাবাহিনী-পুলিশ পাহারায় যেন উৎসব করতে না হয়, সেই সমাজ গড়তে হবে। এমনটাই বলেছেন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকালে শারদীয় দুর্গাপূজার মহনবমীতে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে মতবিনিময়কালে এই কথা বলেন শান্তিতে নোবেল জয়ী।

বিগত সরকারের আমলে মানুষের নিরাপত্তা-সংকটের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শুধু সংখ্যালঘু নয়, মুসলমানদের ছেলেমেয়েরাও ঘর থেকে বের হলে বাসায় ফিরবে কি না সে নিরাপত্তা ছিল না। এমন সমাজ আমরা চাই না। আমরা একটি কাল্পনিক সমাজের কথা বলছি, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান প্রমাণ করেছে এমন সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আগে সব অধিকার একটি গোষ্ঠীর কাছে ছিল, বাকি সব মানুষ অধিকারবঞ্চিত ছিল বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা। বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এখন সময় এসেছে সবার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার। যে অধিকার কেড়ে নিতে চাইবে তাদের শাস্তি হবে। দেশটাকে পাল্টে ফেলার এই সুযোগ যেন হাতছাড়া না হয়।’

‘অন্তর্বর্তী সরকার এমন বাংলাদেশ গঠন করতে চায়, যেখানে সব সম্প্রদায় ও নাগরিকের সমান অধিকার থাকবে। এমন একটি দেশ গড়তে চায় যা নিয়ে গোটা দুনিয়ার সামনে গর্ব করা যায়। এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চায় যেখানে সব সম্প্রদায়ের নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে।’ যোগ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, ‘আমরা এমন সমাজ চাই না, যেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পাহারায় আনন্দ উৎসব করতে হবে। এ জন্য ছাত্রসমাজ আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন একটি সমাজ গঠনের চেষ্টা করছে। আগামী দিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে পূজা বা যেকোনো উৎসব পালন করতে যেন না হয় সেই উদ্যোগ নিতে হবে সবাইকে।’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ‘অত্যন্ত গৌরবপূর্ণ দুর্গাপূজা আমরা করতে পেরেছি সবাই মিলে। এর পেছনে বড় সহযোগিতা করেছে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবিসহ সরকারের সব শান্তিরক্ষা বাহিনীর সবাই। সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করেছে। এটা কঠিন কাজ। কঠিন কাজ অত্যন্ত নিখুঁতভাবে করতে পেরেছে তারা। তারা কষ্ট করার কারণে আমরা ছুটি উপভোগ করতে পারছি। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

এর আগে বেলা তিনটার দিকে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানায় মন্দির কর্তৃপক্ষ। এরপর তিনি পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখেন এবং পুরোহিতের সঙ্গে কথা বলে পূজার খোঁজখবর নেন।

উপদেষ্টার আগমন উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নেয়া হয়