মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম তানজিম মুনতাকা।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম তানজিম মুনতাকা।

সাবরিনা আক্তার

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল   ফল  ঘোষণা করা হয়েছে। এবার ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন তানজিম মুনতাকা সর্বা। তিনি পেয়েছেন ৯২ দশমিক ৫ নম্বর। রোববার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন ফল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে দেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৪৪টি প্রতিষ্ঠানে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ১ লাখ ৪ হাজার ৩৭৪ শিক্ষার্থী আবেদন করেন। উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৯ হাজার ৯২৩ জন। পাসের হার ৪৭.৮৩।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৪৭.৮৩ শতাংশ ফল ঘোষণা করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এবার ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৯ হাজার ৯২৩ জন। পাসের হার ৪৭.৮৩ শতাংশ।  আজ রোববার দুপুরের পরে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন ফল ঘোষণা করেন। এবার প্রথম হয়েছেন তানজিম মুনতাকা সর্বা। ৯২.৫ নম্বর পেয়েছেন তিনি।  গত ৯ ফেব্রুয়ারি এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ১ লাখ ৪ হাজার ৩৭৪ শিক্ষার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে এক লাখ ২ হাজার ৩৬৯ জন ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ২ হাজার ৫ জন আবেদনকারী ভর্তি পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিতির হার ছিল ১.৯২ শতাংশ। এ বছর ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের ৫ হাজার ৩৮০টি আসনে এবং ৬৭টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৬ হাজার ২৯৫টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।  ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল’ কর্তৃক প্রণীত নীতিমালার শর্তানুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর ও এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৩৮০ জন পরীক্ষার্থীকে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে মেধা কোটায় ৫ হাজার ৭২ জন, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৫৬৯ জন ও পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত আসনের ৩৯ জনকে নির্বাচিত করা হয়।   পরীক্ষায় পাস নম্বর পূর্ববর্তী বছরের মতো ৪০ শতাংশ নির্ধারিত ছিল। এর ভিত্তিতে মোট ৪৯ হাজার ৯২৩ জন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পাসের হার ৪৭.৮৩ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ প্রার্থী ছিল ২০ হাজার ৪৫৭ জন, যা উত্তীর্ণ প্রার্থীর ৪০.৯৮ শতাংশ। উত্তীর্ণ মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৬৬ জন, যা উত্তীর্ণ প্রার্থীর ৫৯.০২ শতাংশ। সরকারি মেডিকেল কলেজের ৫ হাজার ৩৮০টি আসনের নির্বাচিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ২০২৩ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা ৪ হাজার ৩৪৭ জন এবং গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৩ জন। ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজ/ডেন্টাল কলেজ/ইউনিটে ভর্তিরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় সফল শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০ জন। মোট ৫ হাজার ৩৮০টি সরকারি আসনের মধ্যে পুরুষ প্রার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৩১২ জন, অর্থাৎ ৪৩ শতাংশ। মহিলা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ হাজার ৬৮ জন, অর্থাৎ ৫৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ৯২.৫ নম্বর পেয়েছেন তানজিম মুনতাকা সর্বা।  মেধা কোটার ৫ হাজার ৭২টি আসনের মধ্যে পুরুষ প্রার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ১৯৪ জন, যা ৪৩.২৬ শতাংশ এবং মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ২ হাজার ৮৭৮ জন, যা ৫৬.৭৪ শতাংশ। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মোট আসন সংখ্যার ৫ শতাংশ হিসাবে ২৬৯ জন শিক্ষার্থী এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত কোটায় ৩৯ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। সরকারি মেডিকেল কলেজে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি চলবে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির অনলাইন আবেদন গ্রহণের বিজ্ঞপ্তি আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হবে