ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে হিজাব ইস্যুতে মুখোমুখি দুই পক্ষ, কর্ণাটকের স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে  হিজাব ইস্যুতে মুখোমুখি দুই পক্ষ, কর্ণাটকের স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে  হিজাব ইস্যুতে মুখোমুখি দুই পক্ষ, কর্ণাটকের স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা

হিজাব ইস্যুতে মুখোমুখি দুই পক্ষ, কর্ণাটকের স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে হিজাব বিতর্কের জেরে দুই পক্ষের সহিংস দ্বন্দ্ব এড়াতে তিন দিনের জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) হিজাব ইস্যুতে আদালতে শুনানি শুরুর আগে মুখ্যমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য যে, গত মাসে কর্ণাটকের উদুপির গভর্নমেন্ট গার্লস পিইউ কলেজে ছয় ছাত্রীকে মাথায় হিসাব পরে আসায় ক্লাসে ঢুকতে দেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ওই দিন থেকে আন্দোলন শুরু হয়। ক্রমে তা রাজ্যের অন্যান্য স্কুল-কলেজে ছড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে, উদুপি এবং চিক্কামাগালুরে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো মেয়েদের হিজাব পরে কলেজে প্রবেশের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিবাদ জানাতে থাকে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে কলেজে সংঘর্ষও হয়। হিজাব ইস্যুতে রাজ্যের বহু স্কুল-কলেজে বিক্ষোভ এখনও অব্যাহত রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টে একটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার এ মামলার শুনানি চলে। আগামীকাল বুধবারও শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আদালতে শুনানি চলাকালে স্কুল-কলেজে দুই পক্ষের লাগাতার বিক্ষোভ থামাতে তৎপর রাজ্য সরকার। স্কুল-কলেজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়েছে।

এদিকে কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরা

গা জ্ঞানেন্দ্র বলেছে, স্কুল কলেজে পরা উচিত ইউনিফর্ম। হিজাব বা গেরুয়া উত্তরীয়—কোনোটাই পরা উচিত নয়। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হচ্ছে, এ ঘটনা নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে রাজি নয় কর্ণাটকের বিজেপি সরকার। রাজ্য সরকার স্কুল-কলেজ শান্ত করতে সেগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছে। হিজাব ইস্যুতে আদালতের রায় অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার