বাংলাদেশের। উন্নতি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। নেন দেখার কেউ নেই। ৫৩ বছর ধরে চলছে এ ভাবে।

বাংলাদেশের। উন্নতি  অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। নেন দেখার কেউ নেই।  ৫৩ বছর ধরে  চলছে এ ভাবে।
বাংলাদেশের। উন্নতি  অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। নেন দেখার কেউ নেই।  ৫৩ বছর ধরে  চলছে এ ভাবে।
আক্তার। মোহনা 
ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে চলাচলের সময় মাঝেমধ্যেই ঘটে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ছবি : কালবেলা

সরেজমিনে দেখা যায়, জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের ফেদুল্লা বেপারি কান্দি- রূপাবোর হাটের মধ্যে শাখা নদীর ওপর তৈরি করা হয়েছে বাঁশের সাঁকো। দীর্ঘদিন ধরে ওই স্থানে একটি পাকা সেতুর দাবি বিভিন্ন দপ্তর ও জনপ্রতিনিধির কাছে জানিয়ে এলেও এখনো তার সুরাহা হয়নি। তবে সেতু নির্মাণের প্রস্তাব অধিদপ্তরের পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইড

জানা গেছে, প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ শাখা নদীর এক মাথা পদ্মার সঙ্গে যুক্ত হলেও আরেক মাথা জাজিরা এলাকায় গিয়ে প্রায় ভরাট হয়ে কৃষি জমিতে পরিণত হয়েছে। প্রায় আধা কিলোমিটার প্রসার হলেও নদীটি দিনে দিনে ভরাট হয়ে যাওয়ায় অনেকের কাছে এটি নিচু জলা ভূমি, অনেকে একে বাঁওড়ও বলে থাকে। বর্ষায় এই নদীতে পানি প্রবেশ করে। তবে শুষ্ক মৌসুমে পানি কমে এলের এর বুকে বিভিন্ন স্থানে জেগে থাকা জমিতে চাষাবাদ করেন কৃষকরা। তবে এটি নদী না কি খাল, তা নিয়ে পাউবো ও এলজিইডির বিরোধ আছে।

উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মধ্যবর্তী শাখা নদীর সাথেই রয়েছে আমজাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পূর্ব নাওডোবা পাবলিক উচ্চবিদ্যালয়, কিন্ডার গার্ডেন, মহিলা মাদ্রসা, সরকারি বি কে নগর বঙ্গবন্ধু কলেজ ও উপজেলা সদরে জাজিরা ডিগ্রি কলেজ। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শাখা নদীর ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পার হতে হয়। অনেক সময় সাঁকো থেকে পড়ে আহত হয় তারা, ভিজে যায় বই-খাতাসহ পোশাক। সাঁতার না জানায় অনেক শিশু শিক্ষার্থী স্কুলে যেতে চায় না।

স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান মাদবর বলেন, সাঁকোতে ঝুঁকি থাকায় বয়স্ক ও নারীদের পারাপার আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। জরুরি প্রয়োজনে গর্ভবতী মায়েদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য দীর্ঘ পথ ঘুরে সড়কে উঠতে হয়। তারপরও প্রতিদিন হাজারো মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সাঁকো।

ফেদুল্লা কান্দির বাসিন্দা তাইজুল ইসলাম আক্ষেপ করে কালবেলাকে বলেন, ‘নির্বাচন এলেই এলাকার জনপ্রতিনিধিরা এখানে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ভোটে পাস করার পর প্রতিশ্রুতির কথা আর মনে থাকে না। কত জনপ্রতিনিধি এলো কিন্তু কেউ কথা রাখেনি।’

কৃষক মো. চুন্নো মিয়া বলেন, পদ্মার শাখা নদীটি রূপবাবুর হাট ও ফেদুল্লা বেপারি কান্দি গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় দুই পাশের ১৫টি গ্রামের প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হয়ে জাজিরা সদরে আসা যাওয়া করছে।

পূর্ব নাওডোবা ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন খান বলেন, নদীতে একটি সেতু না থাকার বিষয়টি এ অঞ্চলের মানুষের জন্য এটা চরম দুর্ভোগের। সেতুটি নির্মাণ হলে পালেরচর, পূর্ব নাওডোবা, বড় কান্দি, কুণ্ডেরচর, মাঝিরচর, বি কে নগর এলাকায় বড় ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে। এ জন্য আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইমন মোল্লা জানান, আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের নদীর ওপর সেতু নির্মাণের ডিজাইন প্রস্তুত করেছি। আশা করি খুব দ্রুতই সেতুটি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব