বাংলাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঝোপ-জঙ্গলে রাতযাপন করছে’

বাংলাদেশে  বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঝোপ-জঙ্গলে রাতযাপন করছে’
বাংলাদেশে  বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঝোপ-জঙ্গলে রাতযাপন করছে’

‘বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঝোপ-জঙ্গলে রাতযাপন করছে’

ঢাকা: গ্রেফতার এড়াতে বিএনপি নেতারা ঝোপ-জঙ্গলে রাতযাপন করছে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

রিজভী বলেন, ‘গ্রেফতার এড়াতে বিএনপি নেতা-কর্মীরা নদীতে অবস্থান নিচ্ছে, গাছ তলায়, বাঁশ ঝারের ঝোপে-জঙ্গলে রাত্রিযাপন করছে। গ্রেফতারের ঝড় এমনভাবে চলছে ময়মনসিংহের নান্দাইলে চিকিৎসা নিতে গিয়ে আটক হয়েছেন ছাত্রদল নেতা, আজ নির্ধারিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে আটক হয়েছেন জাতীয় দলের এহসানুল হুদা। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাকিরকে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরের দিন তার লাশ পাওয়া গেছে। ফরিদপুরের বিএনপি আইনজীবী নেতাকে গ্রেফতার করতে এলে আতঙ্কে তার স্ত্রী মারা যায়।’

তিনি বলেন, ‘চারদিকে শুধু শোক আর কান্নার পানি। একাত্তরের মতোই দেশের প্রতিটি জনপদে গ্রাম গঞ্জে মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে বন-বাদাড়-মাঠে-প্রান্তরে-ফসলের ক্ষেতে পলাতক জীবন-যাপন করছে। রাত নামলেই জনপদে নামছে আতঙ্ক। প্রতিদিন বেশুমার গণতন্ত্রপন্থীদের নামে মামলা হচ্ছে। মামলা বাণিজ্যে থানাগুলো এখন রমরমা। ঘরে ঘরে এখন আতঙ্ক। মানুষের সুখ শান্তি সব ধ্বংস করে জল্লাদের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে শেখ হাসিনা।’

রিজভী বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্ম যারা হানাদার দেখেনি তারা এখন রাজাকার এবং হানাদারদের দেখছে। সেই বিভীষিকাময় পরিস্থিতি দেখছে। এই পরিস্থিতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সিপাহসালার তারেক রহমান দেশ এবং স্বাধীনতা রক্ষার জন্য নব্য আওয়ামী রাজাকারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশের পক্ষের, গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।’

রোববার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সর্বাত্মক রাজপথ-রেলপথ-নৌ-পথে অবরোধ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই গণতান্ত্রিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। কিন্তু শেখ হাসিনার নির্দেশে বিরোধীদলের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে হাতুড়ি-চাপাতি-লগি-বৈঠাধারী আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যানবাহনে আগুন দিচ্ছে, তাণ্ডব চালাচ্ছে।’

রিজভী বলেন, ‘মানবিক মর্যাদা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে বাঁচতে চাইলে, পরিবারকে বাঁচাতে চাইলে, দেশ বাঁচাতে চাইলে বিরোধীদলের ডাকা প্রতিটি কর্মসূচি যেকোনো মূল্যে সফল করতে হবে। আপনার একটু কষ্ট, একটু ত্যাগ হয়তো গড়ে দিতে পারে আগামীর জন্য নিরাপদ একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। আমরা ভুলে যাইনি, একজন শহিদ নূর হোসেনের আত্মত্যাগ, ৯০ এর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের সফলতার পথ রচনা করে দিয়েছিল। আপনার ত্যাগ-কষ্টও বৃথা যাবে না। গণতন্ত্রকামী মানুষের বিজয় সুনিশ্চিত। ফ্যাসিবাদ পরাজিত হবেই হবে