ইতালীতে বিপুলসংখ্যক জাল নথির কারণে কাজের অনুমোদন স্থগিত করেছে।

ইতালীতে  বিপুলসংখ্যক জাল নথির কারণে  কাজের অনুমোদন স্থগিত করেছে।
ইতালীতে  বিপুলসংখ্যক জাল নথির কারণে  কাজের অনুমোদন স্থগিত করেছে।

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বিপুলসংখ্যক জাল নথির কারণে ইতালি গত ১১ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের অনুকূলে ইস্যু করা ‘নুলা ওস্তা’ বা কাজের অনুমোদন স্থগিত করেছে। এসব নুলা ওস্তা পূর্ণাঙ্গ যাচাই করা হবে। যাদের নথি বৈধ পাওয়া যাবে, পরবর্তীতে এর অনুকূলে তাদের দেওয়া হবে ভিসা। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার ইতালি দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অনেক বেশি পরিমাণে জাল কাগজপত্র জমা হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কর্ম ভিসা আবেদনকারীদের পাসপোর্ট আগামী ২০ অক্টোবর থে‌কে ফেরত দেওয়া শুরু হ‌বে। পরে যাদের কাগজ বৈধ পাওয়া যাবে, তাদের ভিসা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আবারও চাওয়া হবে পাসপোর্ট।
দূতাবাস প্রত্যেক আবেদনকারীকে ভিএফএস গ্লোবালের মাধ্যমে এসএমএস বা ই-মেইলে জানিয়ে দেবে, তিনি কখন পাসপোর্ট ফেরত নিতে পারবেন। কাজের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট প্রত্যাশী যাদের নুলা ওস্তা নিশ্চিতকরণ সম্পন্ন হবে, তাদের ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার জন্য ভিএফএস গ্লোবালের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হবে। তাই ভিসার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট বর্তমানে আর প্রয়োজন নেদূতাবাস জানায়, work.appoinment@visglobal.com ই-মেইল আইডি চালু থাকবে। নতুন করে ইস্যুকৃত কর্ম অনুমোদনের ধারকদের বিস্তারিত তথ্য এই ই-মেইল ঠিকানায় পাঠাতে অনুরোধ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে ক্রমান্বয়ে যোগাযোগের জন্য এই তথ্য ব্যবহার করা হবে। আবেদনকারী, নিয়োগকর্তা এবং আইনজীবীদের তাদের কর্ম অনুমোদনের যাচাইকরণের জন্য দূতাবাসে এবং ভিএফএস গ্লোবালে ই-মেইল না পাঠানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। কারণ, যাচাইকরণের সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়াটি ইতালিতে সম্পন্ন হয়। ইতালির প্রভিনন্সিয়াল ইমিগ্রেশন অফিস স্পোর্টেলো ইউনিকো-এসইউআই কর্তৃক যাচাই নিশ্চিতকরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্ম অনুমোদনের মেয়াদ বলবৎ থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। অন্যান্য ভিসা সংক্রান্ত আবেদন প্রক্রিয়া অপরিবর্তিত থাকবে।

এ নিয়ে জানতে চাইলে গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ইতালির ভিসা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। তাদের একটি অঙ্গীকার ছিল যে, ডিসেম্বরের মধ্যে ২০ হাজার তারা ক্লিয়ার করে দেবে। তাদের অভ্যন্তরীণ আইনের কারণে কিছু অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।