প্রথম সমাবেশেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ কমালা হ্যারিসের

প্রথম সমাবেশেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ কমালা হ্যারিসের
প্রথম সমাবেশেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ কমালা হ্যারিসের

সোহাগ সামী::

প্রথম সমাবেশেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ  করেন কমালা হ্যারিসের

প্রচারে নেমে প্রথম সমাবেশেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘আক্রমণাত্মক’ হয়ে উঠেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস। নভেম্বরের নির্বাচনকে তিনি 'প্রাক্তন প্রসিকিউটর এবং দোষী সাব্যস্ত অপরাধীর মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়ার' লড়াই হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসের দৌড় থেকে নিজের প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের করে তার 'রানিং মেট' কমালা হ্যারিসের নাম প্রস্তাব করেছিলেন ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে। তারপর এটাই ছিল মিজ হ্যারিসের প্রথম প্রচার সমাবেশ।

‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট’ উইসকনসিনে প্রায় তিন হাজার লোকের এই জমায়েতে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে মিজ হ্যারিস হোয়াইট হাউসের দৌড়ে সামিল তার রিপাবলিকান প্রতিপক্ষের সঙ্গে তুলনা করেছেন প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে একসময় মামলা লড়েছিলেন তিনি (কমালা হ্যারিস)। প্রসঙ্গত, 'সুইং স্টেট' বা 'ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেট' হলো এমন কয়েকটা মার্কিন অঙ্গরাজ্য, যেগুলো প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আসন্ন নির্বাচনেও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা পাখির চোখ করেছেন এই 'ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেট'গুলোকে।

এদিকে মি. ট্রাম্পও অবশ্য নিশানা করতে ছাড়েননি কমালা হ্যারিসকে। ইতিমধ্যে সীমান্তে তার কাজ নিয়ে আক্রমণ করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন- ‘মিথ্যুক কমালা হ্যারিস যা স্পর্শ করেন তা ধ্বংস করে দেন!’

বাইডেনের প্রশাসনের প্রথম দিকে, মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসন সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবিলা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মিজ হ্যারিসকে। কিন্তু তার কাজ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে আবারও সরব হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রচার শিবির।

প্রথম সমাবেশেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মিজ হ্যারিস।
ক্যাপশান,প্রথম সমাবেশেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মিজ হ্যারিস।

এই ছবিটা কিন্তু ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধির সমর্থন পেয়ে মিজ হ্যারিসের দলের মনোনীত প্রার্থী হওয়ার পথ প্রশস্ত করার ঠিক একদিন পরের।

এদিকে ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম 'ট্রুথ সোশ্যাল'-এ এক জরিপের উল্লেখ করে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে 'অজনপ্রিয়' ভাইস প্রেসিডেন্ট মিজ হ্যারিস।

একইসঙ্গে তিনি একটা পোস্টে উল্লেখ করেছেন যে নির্দলীয় কংগ্রেসনাল স্কোরকিপার ‘গভট্র্যাক’ তাদের রেটিংএ মিজ হ্যারিসকে তার আমলের কয়েক ডজন ডেমোক্র্যাটিক সিনেটরের মধ্যে সবচেয়ে বামপন্থী হিসাবে চিহ্ণিত করেছে। গভট্র্যাক কংগ্রেস সিনেটরদের কাজের ভিত্তিতে তাদের পয়েন্ট নির্ধারণ করে।

প্রথম সমাবেশের ভাষণে উদারপন্থী নীতির উল্লেখ করেছেন মিজ হ্যারিস। সেই তালিকায় রয়েছে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ এবং গর্ভপাত সংক্রান্ত বিষয়, দারিদ্রে থাকা শিশু, ইউনিয়নের অধিকার এবং সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্যসেবার মতো একাধিক ইস্যু।

“আমরা কীধরনের দেশে বাস করতে চাই? যেখানে স্বাধীনতা আছে, সহমর্মিতা আছে, আছে আইনের শাসন সেরকম একটি দেশে? নাকি এমন দেশে যেখানে আছে শুধুই বিশৃঙ্খলা, ভয় আর ঘৃণার পরিবেশ,” বলেন কমালা হ্যারিস।

তবে মিজ হ্যারিস তার ছন্দ ধরে রাখতে পারবেন কি না বিষয়টা এখনও স্পষ্ট নয়।

মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি মেমোতে জনমত জরিপ বিশেষজ্ঞ টনি ফ্যাব্রিজিও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে ভোটারদের সঙ্গে মিজ হ্যারিসের “হানিমুন পিরিয়ড” শেষ হয়ে যাবে এবং দ্রুত তাকে "আবারও মনোনিবেশ করতে হবে বাইডেনের অংশীদার এবং তার (জো বাইডেনের) সহ-পাইলট হিসাবে তার (মিজ হ্যারিসের) ভূমিকার দিকে।"

সীমান্তে অভিবাসনসহ একাধিক বিষয় নিয়ে মিজ হ্যারিসকে কটাক্ষ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ক্যাপশান,সীমান্তে অভিবাসনসহ একাধিক বিষয় নিয়ে মিজ হ্যারিসকে কটাক্ষ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মিজ হ্যারিসের বিরুদ্ধে মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে রেকর্ড পরিমাণ অবৈধ অভিবাসীদের আগমন ঠেকাতে 'ব্যর্থতার' অভিযোগ তুলে আক্রমণাত্মক প্রচার চালাচ্ছে ট্রাম্পের শিবির। এ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, অপরাধের ঘটনা এবং মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে জো বাইডেন এবং কমালা হ্যারিসের প্রশাসনের রেকর্ডকে নিশানা করবে ট্রাম্পের শিবির।

এদিকে, রিপাবলিকান মনোনীত দলের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বিকেলের ই-মেলে মিজ হ্যারিসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেই তালিকায় আছে "অভিযুক্ত খুনি, ধর্ষক এবং অন্যান্য সহিংস অপরাধীদের" জামিন দেওয়া, “ইসরায়েলকে অপমান” করা এবং প্রেসিডেন্ট বাইডেনের “কগনিটিভ ডিক্লাইন বা জ্ঞানগত অবস্থানের অবনতি” সম্পর্কে মার্কিন জনগণকে আড়ালে রাখার মতো অভিযোগ।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প মিজ হ্যারিস সম্পর্কে বলেছিলেন, "উনি একজন উগ্র বাম ব্যক্তি। কিন্তু এই দেশ চায় না যে একজন উগ্র বাম ব্যক্তি তাকে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে) ধ্বংস করুক।

"আমি মনে করি বাইডেনের তুলনায় উনি (প্রতিপক্ষ হিসাবে) সহজ হবেন। কারণ তিনি (জো বাইডেন) কিছুটা মূলধারার ছিলেন, তবে খুব বেশি নয়।"

একইসঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন সেপ্টেম্বর মাসে জো বাইডেনের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল তার । কিন্তু এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনি মিজ হ্যারিসের সঙ্গে ডিবেট করতে প্রস্তুত। সেপ্টেম্বরেই তিনি মুখোমুখি হতে পারেন ভাইস প্রেসিডেন্টের।

মি. ট্রাম্পের কথায়, "আমি অন্য কিছুতে তো রাজি হইনি। শুধুমাত্র জো বাইডেনের সঙ্গে বিতর্ক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে রাজি হয়েছিলাম। তবে আমি এখন ওর (কমালা হ্যারিসের) সঙ্গে ডিবেট করতে চাই। ওর সঙ্গে (বিতর্ক অনুষ্ঠান করতে) কোনও তফাৎ হবে না।"

মিজ হ্যারিসকে ঘিরে যে উৎসাহ প্রথম সমাবেশে দেখা গিয়েছে সে বিষয়টা লক্ষ্য করেছেন পর্যবেক্ষকেরা।
ক্যাপশান,মিজ হ্যারিসকে ঘিরে যে উৎসাহ প্রথম সমাবেশে দেখা গিয়েছে সে বিষয়টা লক্ষ্য করেছেন পর্যবেক্ষকেরা।

প্রসঙ্গত, জুন মাসের শেষের দিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে সামিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটা বিতর্ক অনুষ্ঠানে 'বিপর্যয়কর' পারফরম্যান্সের পর জো বাইডেনের উপর তার প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করার চাপ বাড়তে থাকে। যদিও প্রাথমিক ভাবে তাতে কিছুতেই রাজি হননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। পরে অবশ্য সিদ্ধান্ত বদল করেন মি. বাইডেন।

শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাট এবং ডোনারদের (দাতাদের) ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে শেষপর্যন্ত রোববার আসন্ন নির্বাচনি লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার পরিবর্তে, প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থী হিসাবে নাম প্রস্তাব করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসের।

মি. বাইডেন তার প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই কমালা হ্যারিসের প্রচার শিবির ১০ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ তহবিল সংগ্রহ করতে পেরেছে।

এদিকে রয়টার্স ও ইপসোসের নতুন জাতীয় জরিপ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মি. ট্রাম্পের চেয়ে দুই পয়েন্টে এগিয়ে আছেন মিজ হ্যারিস। সেই জনমত জরিপ বলছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে সমর্থন ৪২ শতাংশ আর কমালা হ্যারিসের ঝুলিতে ৪৪ শতাংশ।

মঙ্গলবারের সমাবেশের ছবি।
ক্যাপশান,মঙ্গলবারের সমাবেশের ছবি।

মিলওয়াকির শহরতলির একটা উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত সমাবেশে দর্শকদের করতালির মাঝে মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিজের কর্মজীবনের কথা তুলে ধরেন ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস। ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জমায়েতে আসা মানুষকে জানিয়ে টেনে আনেন প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রসঙ্গ।

তিনি বলেন, "আমি সব ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ নিয়েছি- যারা নারীদের নির্যাতন করত, উপভোক্তাদের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে যে প্রতারকেরা, নিজেদের লাভের জন্য নিয়ম ভঙ্গ করেছে যে প্রতারকেরা।"

মিজ হ্যারিস বলেন, “তাই, যখন আমি বলি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো মানুষের ধরন আমার জানা, তখন সে কথা শুনুন।"

"এই প্রচারে আমি আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, ওর (ডোনাল্ড ট্রাম্পের) রেকর্ডের তুলনায় আমার রেকর্ডকে আমি গর্বের সঙ্গে পেশ করতে পারি।"

এর জবাবে জনতা 'কমালা কমালা' বলে চিৎকার করে ওঠে।

কয়েকজন পর্যবেক্ষক জানিয়েছেন, প্রথম সমাবেশে মিজ হ্যারিসকে ঘিরে দর্শকদের উৎসাহের যে দৃশ্য দেখা গিয়েছে তা এই নির্বাচনী চক্রে জো বাইডেনের প্রচারসভার ছবির ঠিক উল্টো।

অন্যদিকে, মিজ হ্যারিসের মুখে যখন তার রিপাবলিকান প্রতিপক্ষের নাম শোনা যাচ্ছিল উপস্থিত অনেকেই তখন স্লোগান দিচ্ছিলেন "ওকে (ডোনাল্ড ট্রাম্পকে) লক আপে পাঠানো হোক"। এই একই চিত্র দেখা গিয়েছিল ২০১৬ সালে মি. ট্রাম্পের প্রচার সভায়। সে বছর হিলারি ক্লিনটনের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন মি. ট্রাম্প।

ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় নেতারা ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে কমালা হ্যারিসের প্রতি তাদের সমর্থন দেখিয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন সংখ্যালঘু নেতা হাকিম জেফ্রিস এবং সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমারও।

শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাট নেতাদের পাশাপাশি বিনোদন জগতের তারকাদের সমর্থনও পেয়েছেন মিজ হ্যারিস।
ক্যাপশান,শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাট নেতাদের পাশাপাশি বিনোদন জগতের তারকাদের সমর্থনও পেয়েছেন মিজ হ্যারিস।

বিনোদন জগতের একাধিক ব্যক্তিত্বও সমর্থন করেছেন ভাইস প্রেসিডেন্টকে। যাদের মধ্যে রয়েছেন জর্জ ক্লুনি, বারবারা স্ট্রাইস্যান্ড, জেমি লি কার্টিস এবং অন্যান্য হলিউড তারকারাও। এর ফলে তার প্রচারের জন্য আরও অনুদান পাওয়ার সম্ভাব্য রাস্তা খুলে যেতে পারে। এদিকে, কমালা হ্যারিসের 'রানিং মেট' কে হবেন সে সংক্রান্ত চিন্তা ভাবনা চলছে ডেমোক্র্যাট শিবিরে।

বুধবার, ওভাল অফিসে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আনুষ্ঠানিক কার্যালয়ে) বক্তৃতা দেওয়ার কথা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। কেন তিনি প্রেসিডেন্ট হিসাবে পুনর্নির্বাচনের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন সে বিষয়ে জানাবেন বুধবার। কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ফিরে আসেন মি. বাইডেন।

অন্যদিকে, ওয়াশিংটনে, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের একজন রিপাবলিকান সদস্য মিজ হ্যারিসের বিরুদ্ধে অভিশংসনের নিবন্ধ প্রকাশ্যে এনেছেন।

টেনেসির অ্যান্ডি ওগলস-এর লেখা সেই নিবন্ধে, ভাইস প্রেসিডেন্ড হ্যারিসের বিরুদ্ধে সীমান্তে অভিবাসন পরিচালনার জন্য উচ্চ অপরাধ এবং ‘মিসডেমিনর’ বা মন্দ আচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও এই নিবন্ধ সংক্রান্ত বিষয়টা খুব বেশি দূর এগোবে না বলেই মনে করেন অনেকে