ছাত্র-জনতার সাহসিকতায় শ্রদ্ধা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

ছাত্র-জনতার সাহসিকতায় শ্রদ্ধা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
ছাত্র-জনতার সাহসিকতায় শ্রদ্ধা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

ছাত্র-জনতার সাহসিকতায় শ্রদ্ধা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

বুধবার প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন বার্তাসহ চিঠি লিখেছেন যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী।

Nagad_Ad

অভিনন্দন বার্তায় কিয়ার স্টারমার, ছাত্র-জনতার সাহসিকতাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ভবিষ্যত বাংলাদেশের শুভকামনা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার কিয়ার স্টারামারের চিঠির বিষয়টি তুলে ধরে ব্রিটিশ ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

কিয়ার স্টারমার বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের এবং আরও অনেকের সাহসিকতাকে শ্রদ্ধা জানাই, যারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য একটি ভিন্ন ভবিষ্যতের আহ্বান জানিয়েছে।’

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর কয়েকদিনের অচলাবস্থা কাটিয়ে শপথ গ্রহণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ইতোমধ্যে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় চিঠি লিখেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। প্রধান উপদেষ্টাকে লেখা অভিনন্দন বার্তায় কিয়ার স্টারমার বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আপনার (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) নিয়োগকে আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। বাংলাদেশের ইতিহাসের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আপনার নেতৃত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমাদের দুই দেশের জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধন এবং মূল্যবোধের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে তার দৃঢ় ও স্থায়ী সম্পর্ককে অত্যন্ত মূল্যায়ন করে।’

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর চিঠি
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর চিঠি

সাম্প্রতিক ঘটা সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের এবং আরও অনেকের সাহসিকতাকে শ্রদ্ধা জানাই, যারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য একটি ভিন্ন ভবিষ্যতের আহ্বান জানিয়েছে।’

ড. ইউনূসের উদ্দেশে কিয়ার স্টারমার লেখেন, ‘ব্রিটিশ সরকার আপনাকে সমর্থন করতে প্রস্তুত, যেহেতু আপনি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, শান্তি, এবং আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন।’

অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার এবং আপনার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।