নোয়াখালীতে আ. লীগের দুই পক্ষে মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৭ জন আহত হয়ে ৫০
প্রথম সময়: নিউজ ডেস্ক | সংবাদ টি প্রকাশিত হয়েছে : ২০. ফেব্রুয়ারি. ২০২১ | শনিবার

এই প্রতিবেদন শেয়ার করুন
সোহাগ সামী:
বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জে শুক্রবার বিকেলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিবদমান দু’টি গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ছয়জন গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা সেখানে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ভাই আব্দুল কাদের মির্জার সমর্থক এবং তার বিরোধী গ্রুপের সংঘর্ষের পর দু’পক্ষই ঘটনার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে।
নোয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার মো: আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, আব্দুল কাদের মির্জা অনেকদিন ধরে স্থানীয় আওয়ামী
তার এসব বক্তব্যে বিরুদ্ধে সেখানকার আওয়ামী লীগের আরেকজন নেতা মিজানুর রহমান বাদলের নেতৃত্বাধীন অংশ শুক্রবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিহাট বাজারে মিছিল করে। তখনই দুই পক্ষের মধ্যে কয়েকদফা সংঘর্ষ এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
মি: হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগের এই দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করেছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে এক পর্যায়ে পুলিশ কয়েক রাউণ্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, দুই পক্ষ লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল।
তবে কয়েকজনের যে গুলিতে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, সে ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেছেন, পুলিশ শটগানের ফাঁকা গুলি করেছে।
গত মাসে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে আবারও মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল কাদের মির্জা।
সেই নির্বাচনী প্রচারণা থেকেই তিনি নোয়াখালী অঞ্চলের আওয়ামী লীগ এমপি এবং নেতাদের সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনায় এসেছেন
গত কয়েকদিন ধরে আব্দুল কাদের মির্জা স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে তার বিরোধী অংশকে সহযোগিতা করা সহ নানা অভিযোগ করছেন।
কাদের মির্জা তার সমর্থকদের নিয়ে দু’দিন আগে কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেছেন। গত বৃহস্পতিবার তার ডাকে কোম্পানীগঞ্জে অর্ধ দিবস হরতালও হয়েছে।
তার এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে স্থানীয় আওয়ামী লীগের আরেকজন নেতা এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের নেতৃত্বাধীন অংশ মিছিল করলে সেখানে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হলো।
মিজানুর রহমান বাদল বিবিসিকে অভিযোগ করেছেন, কাদের মির্জা তাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেরও সমালোচনা করেছেন। সেজন্য তারা প্রতিবাদ কর্মসূচি নিলে তাতে হামলা করা হয়েছে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে কাদের মির্জার পক্ষ থেকে। তার সহকারী সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, তাদের কর্মসূচি চলাকালেই অন্য পক্ষ হামলা করলে সংঘর্ষ হয়।
এদিকে স্থানীয় সাংবাদিকরা বলেছেন, পুরো কোম্পানীগঞ্জে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
তবে পুলিশ বলছে, সন্ধ্যা থেকে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে
এই বিভাগের আরো খবর
- নোয়াখানীতে আবার রক্ত ঝরল বসুরহাটে, সংঘর্ষ-গুলিতে নিহত ১
- নোয়াখালীতে আ. লীগের দুই পক্ষে মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৭ জন আহত হয়ে ৫০
- বাংলাদেশের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন- নিয়ে কিছু কথা ত্যাগি নেতাদের অধিকার প্রবাসিদের চেয়ে বেশি
- কোম্পানীগঞ্জে আবার হরতালের ডাক চুপ করে বসে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না
- মিষ্টি নিয়ে বি এন পি জামায়াত নেতার বাসায় গেলেন কাদের মির্জা