লিজ ট্রাসের পদত্যাগ দেড় মাসে মাথায়।

লিজ ট্রাসের পদত্যাগ দেড় মাসে মাথায়।
লিজ ট্রাসের পদত্যাগ দেড় মাসে মাথায়।

গত দেড় মাসেই বেশ আলোচিত-সমালোচিত হয়ে ওঠেন যুক্তরাজ্যের তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ পার্টির নেতা লিজ ট্রাস। গত ৭ সেপ্টেম্বর তিনি যে মন্ত্রিসভা গঠন করেন, তাতে ১৫ জনই ছিলেন নতুন মুখ। আগের মন্ত্রিসভা থেকে ১৬ জনকে রাখা হয় ট্রাসের সরকারে।

ট্রাস বলেছেন, অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিরাট এক অস্থিরতার সময়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে এসেছিলেন। যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর পদে এসেছেন, তা পূরণ করতে পারছেন না। তাই পদ ছাড়ছেন তিনি।

৪৭ বছর বয়সী ট্রাসের আমলে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু। ৬ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে রানির সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের অনুমতি নেন তিনি। এর দুই দিন পর ৮ সেপ্টেম্বর সেখানে মারা যান রানি। ১০ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের পর ১৯ সেপ্টেম্বর লন্ডনে রানির রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হয়। স্কটল্যান্ড থেকে আকাশপথে রানির মরদেহ লন্ডনে আনা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর মরদেহ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছিলেন ট্রাস।

এদিকে রানির মৃত্যুর শোক কাটিয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্টে সংক্ষিপ্ত বাজেট উপস্থাপন করেন ট্রাস সরকারের অর্থমন্ত্রী কাওয়াসি কোয়ারতেং। বাজেটে গৃহস্থালির কর ছাড় ও অর্থনৈতিক সংকট সামাল দিতে জনগণকে জ্বালানি বিল দেওয়ার প্রস্তাব করেন কোয়ারতেং। এসব ট্রাসের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। এরপরই দেশটির বন্ড ও মুদ্রাবাজারে দেখা দেয় অস্থিরতা। রেকর্ড দরপতন ঘটে পাউন্ডের। এর ধারাবাহিকতায় ২৬ সেপ্টেম্বর পাউন্ডের দাম ১ দশমিক ০৩৫০ ডলারে নেমে আসে